শেখ সাহেব আমগোর কাছে স্বাধীনতার গপ করছিলেন। সবেরে কইছিলেন যুদ্ধে যাওনের ল্যাইগা। আরও কইছিলেন যার যা কিছু আসে লইয়া নাইম্মা পড়ো। পরেরটা পরে দেহন যাইবো।
হেই স্বাধীনতা আইলো। কিন্তু শেখ সাহেব আমগোরে দিলেন না। বোতলে ভইরা রাইখা দিলেন নিজের ধারে। উনি হইলেন যক্ষ, আর ধনটা হইলো তেনার।
কেউ স্বাধীনতা চাইবার গেলেই হেড মাস্টরের মতন জালি বেতের বাড়ি মারবার লাগেন। রক্ষী বাহিনী দিয়া হেই বোতল পক্ষীর মতন পাহারা দেন। কেউরেই আর দিলেন না। উল্টা মাইরা পিডাইয়া ছারখার কইরা দিলেন।
পচাত্তরে মিলিটারির পোলাপান হেই স্বাধীনতার বোতলডা কাইরা লইয়া আইলো। শেখ সাহেবের রক্ত পড়লো। শেখ সাহেব মইরা গেলেন, আমার বেশ খারাপ লাগছিল। কিন্তু শেখ সাহেবেরে যে মাইরা ফেললো, তাতে আমার খুব খারাপ লাগে নাই।
রক্ত দিয়া মুইছা আনা আমগোর স্বাধীনতার বোতলডায় আবার রক্ত লাগলো। লগে আইলো হেই রক্তের অভিশাপ। এই বোতলের হইয়া গেল ১২ টা ভাতার। রক্ত ঝইরা যায় আর ভাতার বদলায়।
ঘুরাইতে ঘুরাইতে একদিন বোতলডা আইলো শেখ সাবের মাইয়ার কাছে। হেয় কইলো হে বোতলের মুক্ষাডা খুইলা আমগোরে স্বাধীনতা দিবো। কিন্তু হেয় ও কথা দিয়া কথা রাখলো না।
হেয় উল্টা বোতলে লাগাইলো বাপের জলছাপ। স্বাধীনতার নামডাই পাল্টাইয়া দিল। নয়া নাম দিল মুজিবতা! আমরা চাইয়া আইলাম স্বাধীনতা, মাগার বেডি আমগোর হাতে ধরায় দিল মুজিবতা!
শেখ সাহেব বাজারে উঠলেন, তুললো কিন্তু হের মাইয়াই। পাল্লা ভইরা শেখ সাবেরে বেচলো। আপনে আমি সবে খরিদ করলাম। মাগার স্বাধীনতা পাইলাম না। পাইলাম ঘরে ঘরে মুজিবতা।
চাইয়া দেখলাম আমাগোর লাশের উপরে দিয়া শেখের বেটি চালাইয়া দিসে মুজিবতা। আপনের আমার লাশের রক্তে ফুইলা ফাইপা উডাইলো মুজিবতার বোতল।
পোলাপান শেখের বেটিরেও ভাগাইয়া দিল। বোতলডা কাইরা লইয়া আইলো। বোতলডা খুলবার চাইলাম। মাগার সাহস তো পাইতাসি না। এক বোতলে যে এত রক্ত আর অভিশাপ, এর মুক্ষা কোন সাহসে খুলুম?
copied
Comments
Post a Comment