ইতিহাস মেজর শরীফুল হক ডালিমকে নিয়ে যতটা উচ্ছ্বসিত ঠিক ততটাই নীরব বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আরমার্ড রেজিমেন্ট এবং আর্টিলারির দুইজন অফিসারকে নিয়ে। অথচ ১৫ আগস্টের মূল পরিকল্পনা এবং সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেন এই দুই রেজিমেন্টের সেই অফিসারদ্বয়ই। মেজর ডালিম প্রাথমিক পরিকল্পনার অংশই ছিলেন না। পরবর্তীকালে এসে যুক্ত হন।



এই লেখার উদ্দেশ্য কোনোভাবেই মেজর ডালিমের অবদানকে খাটো করার জন্য না বরং ১ বেঙ্গল ল্যান্সারের তৎকালীন টুআইসি মেজর (পরবর্তীকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) দেওয়ান ইশরাতুল্লাহ সৈয়দ ফারুক রহমান এবং ২ ফিল্ড আর্টিলারি রেজিমেন্টের তৎকালীন টুআইসি মেজর (পরবর্তীকালে লেফটেন্যান্ট কর্নেল) সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খানের অবদানটুকু মনে করিয়ে দেওয়া।


আমাদের মনে রাখা দরকার ১৫ আগস্টের সেই ঘটনার বেশ আগেই মেজর ডালিম সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হন। অর্থাৎ তার অধীনে কোনো ট্রুপস ছিলো না। মূল কাজ আনজাম দেন মূলত ট্যাংক নিয়ে ফারুক আর ফিল্ড গান নিয়ে রশীদ। তাছাড়াও এই অপারেশনের ম্যান পাওয়ারও ছিলো ফারুক আর রশীদের কমান্ডে থাকা ফার্স্ট বেঙ্গল ল্যান্সার এবং সেকেন্ড ফিল্ড আর্টিলারির ট্রুপসরাই।


মেজর ডালিম, লে. কর্নেল রশীদ, লে. কর্নেল ফারুক ও মেজর নূর, মেজর বজলুল হুদা, রিসালদার মুসলেহউদ্দিন সহ সেদিনের ঘটনায় জড়িত সকলেই ইতিহাসের এমন এক অধ্যায়ের রচয়িতা যা স্বাধীন বাংলাদেশকে তার প্রথম পরাধীনতার গ্লানি থেকে মুক্তি দেয়।

Comments

Popular Posts